কোনো বিষয় আয়ত্ত করার একটা এফিশিয়েন্ট টেকনিক হলো রিপিটিশান, পুনরাবৃত্তি। পড়া মুখস্ত করতে, নতুন কোনো অভ্যাস গড়ে তুলতে পুনরাবৃত্তি খুবই কাজে দেয়। পুনরাবৃত্তির ফলে আমাদের মস্তিষ্কে নতুন নিউরাল পাথওয়ে তৈরি হয় এবং ধীরে ধীরে তা শক্তিশালী হয়। পুনরাবৃত্তি আমাদের আচরণ এমনকি চিন্তা করার পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আনতে পারে। মানুষ সাধারণত কোনো বিষয় সত্য নাকি মিথ্যা তা বিবেচনায় খুব গভীরভাবে চিন্তা করে না। তারা একটা শর্টকাট ফলো করে—আমি কি এই কথা আগে শুনেছি? হ্যাঁ, অসংখ্যবার। তাহলে এটা সত্য। এমনকি বিষয়টি মিথ্যা হলেও মানুষের মধ্যে এই শর্টকাট নেয়ার প্রবণতা দেখা যায়। …
২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘The Dictator’ নামের একটা পলিটিক্যাল স্যাটায়ার কমিডি মুভি আছে। তো সেখানে ওয়াদিয়া নামক এক ‘মুসলিম’ দেশকে এক ডিক্টেটর বা একনায়ক শাসন করে। নাম তার আলাদিন। এডমিরাল জেনারেন আলাদিন। লোকে ডাকে সুপ্রিম লিডার। যেহেতু একনায়কতন্ত্রে সে একাই একশ, তাই সে যা ইচ্ছা যেভাবে ইচ্ছা পরিবর্তন করতে পারে। তা সেই একনায়ক করল কী - ওয়াদিয়ান ডিকশনারির নেগেনিভ-পজেটিভ, ভালো-মন্দ এই শব্দগুলোকে ‘আলাদিন’ দ্বারা পরিবর্তন করে দিল। দেখেন কান্ড! এই কারণে সাধারণ লোকজনের চরম পেরেশানি হতো। এক রোগী ডাক্তারের কাছে গেছে। ডাক্তার রোগীর টেস্ট রেজাল্ট দেখে তার কি…
একজন পাকিস্তানী মুসলিমাহ বছরের পর বছর ধরে আফগানিস্তানের কুখ্যাত বাগরাম কারাগারে বন্দী ছিলেন এবং বর্তমানে তার অবস্থান অজ্ঞাত। আপনি কি কখনো তার সম্পর্কে কিছু শুনেছেন? সম্ভবত না। একজন মুসলিমাহ এই ধরনের অত্যাচারী কারাগারে বন্দী রয়েছেন, আর তার দেশে বা মুসলিম বিশ্বের কোনো প্রান্তে কোনো সতর্কতার আভাস নেই। কেবল এমন ঘটনা ঘটতে দিয়েই নয়, বরং এ ব্যাপারে একেবারে অচেতনতা প্রদর্শন করে আমরা উম্মাহ হিসেবে কতটা নিচে নেমে গিয়েছি বলতে পারেন? তার সম্পর্কে বেশি কিছু জানা যায়নি। তিনি কেন ঐ কারাগারে বন্দী? কিইবা অপরাধ ছিল তার? তিনি একজন ভূত-বন্দী (ghost prisoner)।…
আমেরিকা কেন ইসরায়েলকে সমর্থন করে?— এর পেছনে একটি দীর্ঘ এবং আকর্ষণীয় ইতিহাস আছে। একটি বিষয় আমাদের মনে রাখা উচিত, খ্রিস্টান-যায়োনিজম খুবই ক্ষমতাবান একটি শক্তি। যার সূচনা ইহুদি-যায়োনিজমেরও অনেক আগে। বিশেষ করে ইংল্যান্ডে খ্রিস্টান-যায়োনিস্টরা ছিল ব্রিটিশ অভিজাতদের মধ্যকার একটি ক্ষমতাসীন দল। ব্যালফোর ঘোষণা (Balfour Declaration) এবং ইসরায়েলে ইহুদি উপনিবেশে ব্রিটেনের সমর্থনের পেছনের যেসব বল কাজ করেছে সেগুলোর একটি ছিল খ্রিস্টান-যায়োনিজম। বাইবেলে কী বলা আছে তা আপনারা নিশ্চয়ই জানেন। ব্রিটিশ অভিজাত সংস্কৃতির একটি বড় অংশ জুড়ে ছিল এই খ্রিস্টান-যায়োনিজ…
আজ আমরা যাকে নিয়ে কথা বলব তিনি খুব বিখ্যাত এবং অসাধারণ একজন মানুষ। সত্যিকার অর্থে তাকে সংজ্ঞায়িত করতে চাইলে বলতে হয়—তিনি ছিলেন খুব উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং দৃঢ় মানসিকতার মানুষ। আমরা যদি বড় ইমাম শাইখুল ইসলাম আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারকের কথা বলি তাহলে বলা যায়—তিনি একটি ভারসাম্যপূর্ণ ব্যক্তিত্বের মানুষ ছিলেন। যদি আমরা ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ সম্পর্কে বলি তাহলে বলা যায়—তিনি ছিলেন জ্ঞানের সাগর। ইবনুল কাইয়্যিম সম্পর্কে বলা যায়—তিনি ছিলেন উৎসাহী ব্যক্তি। ইবনুল জাওযী ছিলেন প্রকৃষ্ট দাঈ। আয-যাহাবী তার নিরপেক্ষতার জন্য বিখ্যাত ছিলেন। ইযযুদ্দিন আব্দুস সালা…
হিযরত কুরআন এবং হাদীসে বর্ণিত একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি এমন একটি বিষয় যা ইসলামের শুরুর দিকে একজন মুসলিম হওয়ার ক্ষেত্রে একটি কেন্দ্রীয় রিকোয়ারমেন্ট হিসেবে পরিগনিত হতো। যখন মক্কা ছিল দারুল কুফর এবং মদীনা ছিল দারুল ঈমান, তখন হিযরত ছিল ঈমান ও কুফরের মধ্যকার স্পষ্ট পার্থক্যকারী। তখনকার দিনে হিযরত এতটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যদি তুমি আমাদের সাথে মদীনায় থাকো তবে তুমি আল্লাহর আউলিয়াদের মধ্য হতে একজন। আর তুমি যদি মক্কায় থাকো তবে তোমাকে নিরাপত্তা বা সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব থেকে আমরা মুক্ত এবং বিচার দিবসে তোমার হিসাব আল্লাহর হাতে। একটা সময় পর্যন্ত…
Truth has come, and falsehood has departed. Indeed is falsehood, [by nature], ever bound to depart.[17:81]
Social Plugin